বড়লেখায় ছাত্রলীগ নেতার চুরি হওয়া মোটর সাইকেল কোম্পানীগঞ্জে উদ্ধার, চোর জেলহাজতে
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারেরবড়লেখা পৌর শহর থেকে দিনে-দুপুরে চুরি হওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার এবং আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোরচক্রের সদস্য আলমাছ উদ্দিন ওরফে সাজুকে (৩০) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সিলেট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহযোগিতায় তাকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বুরদেউ (থানা বাজার) এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাজু কানাইঘাট উপজেলার ছোট মির্জারঘর গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হকের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতার হওয়া আলমাছ উদ্দিন ওরফে সাজু। পরে তাকে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড়লেখা পৌর শহর থেকে তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ নামক ছাত্রলীগ নেতার মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। ওইদিন দিবাগত রাতে ফরহাদ থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহযোগিতায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বুরদেউ (থানা বাজার) এলাকার কাইয়ুম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। এ সময় ফরহাদের চুরি হওয়া মোটর সাইকেলের যন্ত্রাংশ পরিবর্তনকালে হাতেনাতে আলমাছ উদ্দিন ওরফে সাজুকে আটক করা হয়। সাজু পুলিশের কাছে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানা পুলিশের এসআই স্বপন কান্তি দাস বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার করা মোটরসাইকেল চোর সাজুকে আদালতে সোপর্দ করেন। সেখানে চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বড়লেখা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, মোটরসাইকেল চুরির মামলার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট জেলা ডিবি পুলিশের সহায়তায় কোম্পানীগঞ্জ থেকে আলমাছ উদ্দিন ওরফে সাজুকে গ্রেফতার করা হয়। আলমাছ তার ওয়ার্কশপে চুরি হওয়া মোটর সাইকেলটির যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করছিলো। এ সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আলমাছ আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও একাধিক চোরের নাম বলেছে। এছাড়া চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে। আলমাছ মোটর সাইকেল চুরিতে সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি চুরি হওয়া মোটর সাইকেলের যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে অন্যত্র বিক্রি করে।