ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করে তারা পেলেন পুরস্কার
নিজস্ব প্রতিবেদক :: অতিরিক্ত দামে সফট ড্রিংক বিক্রি করা, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খাদ্যপণ্য বিক্রয় না করা, সরকার নির্ধারিত দাম থেকে অতিরিক্ত দামে পেট্রোল বিক্রয় করা, নির্ধারিত দাম থেকে অতিরিক্ত দামে কাগজ বিক্রয় করা, অতিরিক্ত দামে মেডিকেলসামগ্রি বিক্রয় করা-এমন অভিযোগে ছয়জন অভিযোগকারী লিখিত অভিযোগ দেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের উপস্থিতিতে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপসহ আদায় করা হয়।
আইন অনুযায়ী, জরিমানার ২৫% টাকা ছয়জন অভিযোগকারীকে মোট ৩ হাজার ২৫০ টাকা প্রদান করা হয়। আব্দুল হাদী খান মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার কুসুমবাগে অবস্থিত রিকতা কনফেকশনারির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দামে সফট ডিংকস বিক্রি করার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতিষ্ঠানের মালিক জিতেন্দ্র বৈদ্য তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করায় তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী, অভিযোগকারী আব্দুল হাদী খানকে জরিমানার ২৫%=৫শত টাকা তাৎক্ষণিক প্রদান করা হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খাদ্যপণ্য বিক্রয় না করায় মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার কোর্ট রোডে অবস্থিত ফুসকা ঘর এর বিরুদ্ধে ইকবাল হোসেন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক মো: ফারুক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করায় তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারী ইকবালকে জরিমানার ২৫%=৫শত টাকা তাৎক্ষণিক প্রদান করা হয়। একইভাবে শেরপুর বাজারে অবস্থিত শেরপুর ট্রেডার্স এর বিরুদ্ধে তারেক আহমেদ কর্তৃক সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত দামে পেট্রোল বিক্রয় করার অভিযোগ আনায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অভিযোগকারীকে ৫শত টাকা প্রদান করা হয়।
এদিকে পুরাতন হাসপাতাল রোডে অবস্থিত নিউ সেন্ট্রাল লাইব্রেরী এণ্ড স্টেশনার্স এর বিরুদ্ধে ঝলক ঘোষ অতিরিক্ত দামে কাগজ বিক্রয় করার অভিযোগ আনায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অভিযোগকারীকে ৫শত টাকা প্রদান করা হয়। অতিরিক্ত দামে মেডিকেলসামগ্রি বিক্রয় করায় শ্রীমঙ্গল রোডে অবস্থিত ইউনুস সার্জিকেল ফার্মেসির বিরুদ্ধে রুহুল আমিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অভিযোগকারীকে ৭৫০ টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া বেরিরপাড় পয়েন্টে অবস্থিত কার্তিক স্টোরের বিরুদ্ধে মাসনুন আল আমিন অতিরিক্ত দামে সফট ড্রিংকস বিক্রয় করার অভিযোগ আনায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অভিযোগকারীকে ৫শত টাকা প্রদান করা হয়।