খাবারের হোটেলেও অসামাজিক কাজ, দুই কিশোরীসহ জনতার হাতে ম্যানেজার আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক, জুড়ী :: মৌলভীবাজারের জুড়ীর শাহিনা হোটেলে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে জনতা। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার নাইট চৌমুহনীর শাহিনা রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, শনিবার শাহী রেস্টুরেন্টের মালিক আলকাছ মিয়ার ম্যানেজার শ্যামল চন্দ্র দাশ (২৮) তারই মালিকানাধীন শাহিনা রেস্টুরেন্টে ১৯ ও ২১ বছরের দুই যুবতীকে নিয়ে প্রবেশ করেন। পরে তারা একটি কেবিনে অনেকক্ষণ সময় কাটান। এরপর শ্যামল চন্দ্র দাস ২১ বছরের এক যুবতীকে নিয়ে রেস্টুরেন্টের পিছনের স্টাফদের থাকার পক্ষে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘ সময় একান্তে তারা সময় কাটান। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন জনতা। সন্ধ্যার পর অভিভাবকদের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাদের হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে শাহী রেস্টুরেন্টের ভবনের মালিক বাবুল মিয়া জানান, শাহী ও শাহিনা রেস্টুরেন্টের মালিক আলকাছ মিয়া রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আঁড়ালে প্রায় সময় নারী নিয়ে অসামাজিক কাজ করে। আমি তাকে একবার মহিলাসহ ধরি। পরে সে আমার হাতে-পায়ে ধরে রক্ষা পায়।
এ বিষয়ে শাহিনা রেস্টুরেন্টের ভবনের মালিক বশির মিয়া বলেন, আমি প্রায় সময় শুনি শাহিনা রেস্টুরেন্টের পিছনের স্টাফ রুমে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। আমি তখন বিশ্বাস করিনি। শনিবার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে নারীসহ রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার শ্যামল চন্দ্র দাসকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।
অভিযোগের বিষয়ে রেস্টুরেন্ট মালিক আলকাছ মিয়া বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘুমে ছিলাম। লোকজনের হাল্লা-চিৎকারে রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে ঘটনা জানি। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিই। এ ঘটনার সাথে অভিযুক্ত আমার হোটেল ম্যানেজার শ্যামল চন্দ্র দাসকে চাকরি থেকে অব্যাহত দিয়েছি। আমার বিষয়ে অভিযোগটি সঠিক নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী জানান, রেস্টুরেন্টের ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।