ট্রানজিট ব্যবহার করে মৌলভীবাজার হয়ে ১০ ট্যাংকার জ্বালানি গেলো ত্রিপুরা
নিজস্ব প্রতিবেদক :: ভারত বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তিতে বাংলাদেশকে ট্রানজিট ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি স্থল ও শুল্ক বন্দর দিয়ে সিলেটের তামাবিল স্থল ও শুল্ক বন্দরে আসে ইন্ডিয়ার ওয়েলের ১০ ট্যাংকার জ্বালানি পণ্য। এ ১০টি জ্বালানিবাহী পণ্য আবার তামাল থেকে সিলেট-মৌলভীবাজার হয়ে চাতলাপুর স্থল ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে রাতে ভারতের উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহরে গেলো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতীয় জ্বালানি পণ্যবাহী ট্যাংকারগুলে তামাবিল স্থল ও শুল্ক বন্দরে পৌঁছালেও ইমিগ্রেশন ও শুল্ক বিভাগের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় রওয়ানা দিয়ে রাত সাড়ে ৯টায় মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থল ও শুল্ক স্টেশনে পৌঁছে এখানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত সাড়ে ১০টায় ভারতের মনু স্থল ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে আবার উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহরে প্রবেশ করে ট্যাংকারগুলো। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেটেরে তামাবিল স্থল ও শুল্ক বন্দরে ভারতীয় জ্বালানিপণ্যের ১০টি ট্যাংকার গ্রহণ করেন বাংলাদেশস্থ ইন্ডিয়ান ওয়েল এর কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুল্ক বিভাগের সিলেট বিভাগীয় উপ-কর কমিশনার আল আমিন, তামাবিল স্থল ও শুল্ক বন্দরের উপ-পরিচালক মাহফুজ আলম ভূঁইয়া।
পেট্রোলিয়াম পণ্যবাহী ট্যাংকারগুলোর মাঝে ছিলো ৩টিতে ২১ দশমিক ১৯ মে.টন এলপিজি ও ৭টিতে ছিলো ৮৩ মে.টন পেট্রোলিয়াম ওয়েল। তামাবিল স্থল ও শুল্ক বন্দর থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় বের হওয়া ভারতীয় জ্বালানি পণ্যবাহী ট্যাংকারগুলো সিলেট-মৌলভীবাজার হয়ে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় চাতলাপুর স্থল ও শুল্ক স্টেশনে এসে পৌছতে রাত হয়ে যায়। ট্যাংকারের বহরের সাথে চাতলাপুর স্থল ও শুল্ক স্টেশনে আসেন বাংলাদেশস্থ ইন্ডিয়ান ওয়েল এর কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম, সিলেট থেকে চারজন শুল্ক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশস্থ ইন্ডিয়ান ওয়েল এর কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে ভারতের চুক্তির অংশ হিসেবে এটি প্রথম চালান জ্বালানি পণ্যবাহী ট্যাংকার এসেছে। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আরও জ্বালানি পণ্যবাহী ট্যাংকার এভাবে এ পথে ট্রানজিট ব্যবহার করবে। তিনি এ ট্রানজিট ব্যবহারকালে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ খুব আন্তরিকতার সাথে সাহায্য করেছে বলে জানান তিনি।
চাতলাপুর স্থল ও শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের একটি চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় জ্বালানি পণ্যবাহী ট্যাংকার তামাবিল দিয়ে প্রবেশ করে আবার চাতলাপুর স্থল ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের কৈলাশহরে প্রবেশ করেছে। ঊর্ধ্বতন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় তিনিসহ তার অন্য কর্মকর্তারা রাত পর্যন্ত অপেক্ষার পর শুল্ক বিভাগীয় কাজ সম্পন্ন করে রাতে আবার এসব জ্বালানি পণ্যবাহী ট্যাংকার ভারতে প্রবেশে দায়িত্ব পালন করেছেন।