বড়লেখায় জলমহালে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইজারাকৃত একটি সরকারি জলমহালে প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক বিষ প্রয়োগে অন্তত ৫ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ইজারাদার সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরিয়া-শ্রীধরপুর মৌজায় অবস্থিত ‘চারুয়া মেধা বিল’ ১৪৩১ বাংলা পর্যন্ত ৬ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছে কান্দিগ্রাম মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। লিজ গ্রহণের পর ইজারাদার সমিতি এ জলমহালে মাছের পোনা অবমুক্ত, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে। জলমহালে তাদের ফেলা পোনা মাছ ইতোমধ্যে কয়েক লাখ টাকার হয়ে গেছে। তারা সুষ্ঠুভাবে মৎস্য আহরণ ও সংরক্ষণ করলে বিলের পেছনের ‘কামারি খাল’ জলমহাল ইজারা নিতে ব্যর্থ প্রতিদ্বন্দ্বী তিনটি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির লোকজন বিভিন্নভাবে বিলের ক্ষতি সাধনে লিপ্ত থাকে। গত শুক্রবার বিকেল থেকে ‘চারুয়া মেধাবিলে’র ইজাদাররা পানির ওপর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখেন। গত দুই দিনে অন্তত ৫ লাখ টাকার মাছ মরে পানির ওপর ভেসে উঠেছে। পানি যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করেন, বিলের টেন্ডার নিয়ে মনোমালিন্য থাকায় প্রতিপক্ষ সমিতির লোকজন বিলে বিষ প্রয়োগ করেছে।
কান্দিগ্রাম মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম জানান, বিলটি তার সমিতি ৬ বছরের জন্য লীজ নিয়ে ধার-দেনা করে ৮-১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। ইতোমধ্যে মাছ বড়ও হয়েছে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে অন্তত ৫ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে। এতে তাদের পথে বসার উপক্রম। তার দাবি, ইজারা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী তিনটি সমিতির লোকজন এ কাজটি করেছে।
অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, জরুরী ভিত্তিতে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসানকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।