বড়লেখায় অটোরিক্সাচালক হত্যা মামলার ৪ আসামীর রিমান্ড শেষ, স্ত্রী ২ দিনের রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সাচালক ফখরুল ইসলাম হত্যা মামলার ৪ আসামীর রিমান্ড শেষ হয়েছে। ৪ দিনের রিমান্ড শেষে নিহতের স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক মস্তাব উদ্দিন ওরফে মাসুমকে সোমবার (০১ আগস্ট) বিকেলে আদালতে সোর্পদ করেছে পুলিশ। রিমান্ডে আসামীরা পুলিশকে পরিকল্পিত হত্যা ঘটনার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এদিকে আদালত নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগমের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ফখরুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম জানান, এ হত্যা ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে মামলার এজাহারনামীয় আসামী সেলিম উদ্দিন ও কবির আহমদকে ২ দিনের, উজ্জল আহমদকে ৩ দিনের ও মস্তাব উদ্দিনকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামীরা রিমান্ডে হত্যকাণ্ডের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। মামলার প্রধান আসামী নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শীঘ্রই তাকেও রিমান্ডে আনা হবে।
সূত্র জানায়, উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপি’র ইটাউরি গ্রামের অটোরিক্সাচালক ফখরুল ইসলামের স্ত্রী দিলারা বেগম (৪৩) একাধিক পুরুষের সাথে পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরপুরুষ আসক্তির কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। এর জের ধরে গত ২৫ জুলাই রাতে পরিকল্পিতভাবে ফখরুল ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গ্রামের পরিত্যক্ত একটি বাড়ির লেচু গাছে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগম, তার পরকীয়া প্রেমিকরা ও মেঝো ছেলে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে এলাকায় প্রচারণা চালায়। পরদিন পুলিশ ফখরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে। রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের বোন সুফিয়া বেগম নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগম, মেঝো ছেলে উজ্জল আহমদসহ ৫জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ আসামীকে এবং পরবর্তীতে বিয়ানীবাজারের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রধান আসামী নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগমকেও গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।