শ্রীলঙ্কা নয়, ইউরোপ-আমেরিকা হবে বাংলাদেশ-জুড়ীতে পরিবেশমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, জুড়ী :: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, অনেকে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে বলে সমালোচনা করেন। তবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা নয়, ইউরোপ-আমেরিকা হবে। দেশের আগে যে অবস্থা ছিলো, এখন আর তা নেই। গ্রাম-গঞ্জের চেহারা পাল্টে গেছে। ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে নিজের নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষার্থী এবং অস্বচ্ছল পরিবার ও সংস্কৃতিসেবীদের অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় দুস্থ নারীদের সেলাই যন্ত্র এবং কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে রোপা আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সাম্প্রতিক লোডশেডিংয়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এ কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। ধৈর্য ধরতে হবে। বেশি দিন এ কষ্ট করতে হবে না। দুই মাসের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।
মন্ত্রী শিক্ষাবৃত্তির চেকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাস্টার্স পাস করে চাকরির আশায় না থেকে অনেকে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। লেখাপড়া করে সবজি চাষ করলে লজ্জা নেই। এতে আয়ের ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি আরও ১০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সাম্প্রতিক বন্যায় সবারই কিছু না কিছু ক্ষতি হয়েছে। হাওর এলাকায় পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে চাষীরা চাষাবাদ শুরু করেন। শর্ষের চাষ করতে পারেন। এতে তেলের চাহিদা পূরণ হবে। এরপর বোরো ধানের চাষ করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোনিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাডেমিক সুপারভাইজার আলাউদ্দিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ মোঈদ, ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী, জুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সমরজিৎ সিংহ, কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ প্রমুখ।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৫০ শিক্ষার্থী ও ৩০টি পরিবারের সদস্যদের মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার অনুদানের চেক দেওয়া হয়। এছাড়া বন্যা পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার কৃষককে ৫ কেজি করে রোপা আমন ধানের বীজ এবং ১০ কেজি করে এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) ও ১০ কেজি করে ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট) সার বিতরণ করা হয়।