বড়লেখায় বন্যার পানিতে ডুবে ব্যবসায়ী ও বৃদ্ধের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর গ্রামে নৌকা ডুবে নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর রোববার (০৩ জুলাই) সকাল ৯টায় সুড়িকান্দি-ছালিয়াবন্দ এলাকায় ব্যবসাী আব্দুল আজিজ কয়েছের লাশ ভেসে উঠেছে। তিনি তালিমপুর গ্রামের মৃত সফিক উদ্দিন বলাই’র ছেলে। কয়েছ দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবারে গাজিটেকা গ্রামে বসবাস করছেন। এদিকে শনিবার (০২ জুলাই) সন্ধ্যায় বানের পানিতে ডুবে নিহত বৃদ্ধ আব্বাস আলীর লাশ উদ্ধার করেছেন স্বজনরা। তিনি দক্ষিণভাগ ইউপি’র পেনাগুল গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে। বন্যার পানি ডিঙিয়ে ভাতিজার বাড়িতে ভাত খেতে যাওয়ার পথে গভীর পানিতে ডুবে যান। বড়লেখায় বন্যার পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী নিহতের স্বজনদের সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বড়লেখা পৌর শহরের হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ কয়েছ ও তার বড়ভাই আব্দুর রউফ নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে উপজেলার সুড়িকান্দি ছালিয়াবন্দে যান। এ সময় হঠাৎ নৌকাটি ডুবে যায়। পরে আব্দুর রউফ সাঁতরে কোনোমতে পারে উঠতে পারলেও আব্দুল আজিজ কয়েছ বন্যার পানিতে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন দীর্ঘ চেষ্টা চালিয়েও তার সন্ধান পাননি। খবর পেয়ে রাত ৮টায় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তবে রাত অনেক হওয়ায় তারা উদ্ধার অভিযান চালাতে পারেনি। এদিকে রোববার সকাল ৯টায় আব্দুল আজিজ কয়েছের (৪৫) লাশ সুড়িকান্দি-ছালিয়াবন্দ এলাকায় ভেসে উঠে। পরে স্থানীয়রা লাশটি উদ্ধার করেন।
অপরদিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পেনাগুল গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে হতদরিদ্র বৃদ্ধ আব্বাস আলী (৮২) শনিবার বিকেলে বন্যায় নিমজ্জিত রাস্তার পানি ডিঙিয়ে ভাত খেতে ভাতিজার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। রাস্তা হারিয়ে হঠাৎ তিনি গভীর পানিতে পড়ে যান। সন্ধ্যায় স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করেন।
বড়লেখা ফায়ার স্টেশন অফিসার শামীম মোল্লা জানান, ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে রাত অনেক হওয়ায় উদ্ধার অভিযান চালানো যায়নি। স্থানীয় লোকজন উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পাননি। রোববার সকালে সিলেট থেকে প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য আসে। কিন্ত এর মধ্যে সকাল ৯টায় লাশ ভেসে উঠায় ডুবুরি দল ফিরে যায়।
বড়লেখা থানা পুলিশের এসআই আতাউর রহমান জানান, নিহত আব্দুল আজিজ কয়েছ ও বৃদ্ধ আব্বাস আলীর পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তারা ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। অনুমতি পাওয়ায় স্বজনদের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।