বড়লেখার আশ্রয় কেন্দ্রে মশার উপদ্রব, পৌর মেয়রের উদ্যোগে মশক নিধন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখার অর্ধশতাধিক বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের আশ্রিত দুর্গতরা যখন মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ, ঠিক তখনই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। পৌরসভার পক্ষ থেকে তিনি উপজেলার ৫২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে মশক নিধনে উন্নতমানের ওষুধ প্রয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সোমবার (২৭ জুন) সকালে সুজানগর ইউনিয়নের ছিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর হুমায়ুন কবীর, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল হাফিজ ললন, সুজানগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমরুল ইসলাম লাল, ছিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাহেদুল মজিদ নিকু প্রমুখ। সোমবার বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ছিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয়, আজিমগঞ্জ সরকারি প্রাইমারি স্কুল, টেকাহালি উচ্চ বিদ্যায়, কানসাই উচ্চ বিদ্যালয়, হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১২ আশ্রয় কেন্দ্রে মশার ওষুধ প্রয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার হাকালুকি হাওড়পারের বর্ণি, সুজানগর, তালিমপুর, দাসেরবাজার ও নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের প্রায় শতভাগ এলাকা এবং বড়লেখা পৌরসভা ও বড়লেখা সদর, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ, দক্ষিণভাগ উত্তর, উত্তর শাহবাজপুর ও দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের আংশিক এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। বন্যাদুর্গদের জন্য খোলা হয় ৫২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র। হাজার হাজার দুর্গত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে গত ১০দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নানা দুর্ভোগের মধ্যে মশার উপদ্রবে অসহায় মানুষগুলো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন।
পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী জানান, মশার ওষুধ পৌর এলাকার বাহিরে প্রয়োগের নিয়ম না থাকলেও আশ্রয় কেন্দ্রের বানভাসী মানুষকে মশাবাহিত রোগ-জীবাণুর কবল থেকে রক্ষা করতে তিনি উন্নতমানের মশার ওষুধ ছিটানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। যাতে একবার ছিটালো অন্তত ৮–১০দিন মশার উপদ্রব না থাকে। সোমবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। এদিন ১২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ওষুধ প্রয়োগ সম্পন্ন করা হয়। বাকিগুলোতেও প্রয়োগ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, দুর্গত এলাকায় বন্যা পরবর্তী নানা রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। বিশেষ করে আশ্রয় কেন্দ্রে মশার উপদ্রব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৌরসভার মেয়রের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।