বড়লেখা-কুলাউড়া সড়কে বন্যার পানি, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান দিয়ে এখনও বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সড়কের কিছু স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে পানি ঢুকে যানবাহন বিকল হচ্ছে। যার কারণে চালক-যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সুযোগে অসাধু যানবাহন চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ও করছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে যায়। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সড়কের কিছু স্থান থেকে পানি নেমে গেছে। তবে এখনও তালিমপুর, রতুলী, দক্ষিণভাগ, হাতলিঘাট, বাছিরপুর, জুড়ী বাজার এলাকায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কোথাও হাঁটু পানি। আবার কোথাও হাঁটুর নিচে পানি। পানি মাড়িয়ে মানুষজন চলাচল করছেন। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। তবে ছোট যানবাহন খুবই কম চলাচল করছে। যেগুলো চলছে সেগুলোতে পানি ঢুকে বিকলও হচ্ছে। এতে চালক ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কিছু স্থানে পানি নেমে যাওয়ায় বড় বড় গর্ত বের হয়েছে।
অটোরিক্সাচালক হামিদ আহমদ বলেন, বন্যার পানি উঠার পর দূরে কোথাও যাত্রী নিয়ে যাই না। আজকে যাত্রী নিয়ে বেরিয়ে বিপদে পড়েছি। কারণ সড়কের বেশ কিছু স্থানে পানি আছে। পানির কারণে সড়কে গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্তগুলো দেখা যায় না। চলতে গিয়ে এসব গর্তে গাড়ি আটকে পড়ছে। এতে পানি ঢুকে গাড়ি বিকলও হচ্ছে। পানিতে আমার জুতাজোড়াও ভেসে গেছে। বড় ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
অটোরিক্সাযাত্রী জামিল হোসেন বাবলু বলেন, সড়কের বিভিন্ন স্থানে এখনও পানি আছে। গাড়ি কম চলছে। গাড়ি চলতে গিয়ে যানবাহন চলছে। জরুরী প্রয়োজনে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে হচ্ছে। খুবই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আরেক যাত্রী হাফিজুর রহমান বলেন, সড়কে অনেক পানি। জরুরী প্রয়োজেন কুলাউড়ায় যেতে হচ্ছে। বেরিয়ে বিপদে পড়েছি। অনেক কষ্টে একটি গাড়ি পেয়েছি। এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।
গাড়িচালক কামাল আহমদ বলেন, সড়কে গাড়ি চলছে না পানির কারণে। মানুষের কষ্ট দেখে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছি। গাড়িতে পানি ঢুকে নষ্ট হচ্ছে। তা ঠিক করতে টাকা লাগবে। এ কারণে যাত্রীদের কাছ থেকে একটু বেশি ভাড়া নিচ্ছি। এটা তো দোষের কিছু নয়।