বড়লেখায় বন্যার্ত ৫০০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রি দিলো তরুণরা
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখার বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের পাশে যে যার অবস্থান থেকে পারছেন সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছেন। কেউই পিছিয়ে যাচ্ছেন না মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়া থেকে। তাই এবার দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ালো চান্দ্রগ্রাম এলাকার কয়েকজন তরুণ। তারা এ পর্যন্ত বন্যার্ত ৫০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করেছে। এ মহতি কাজে তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ডা. সারাহ ও সিলেট আর্ট ফরেন এডুকেশন কনসালটেশন কর্তৃপক্ষ। খাদ্যসামগ্রির মধ্যে ছিলো ৩ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ২ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, মোমবাতি, স্যালাইন ও ঔষধ।
তরুণরা জানিয়েছে, প্রথম ধাপে তারা গত ২৪ জুন উপজেলার কুদালি, পূর্ব ধর্মদেহী, পশ্চিম ধর্মদেহী, দ্বিতীয়ারদেহী ও চুলারকুড়ি গ্রামে নৌকায় গিয়ে ২৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করে। দ্বিতীয় ধাপে ২৬ জুন বন্যাদুর্গত কাজিরবন্দ, হাল্লা, আহমদপুর, খুটাউরা গ্রামে গিয়ে ২৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিজবাহাদুরপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন, রাহিম আহমদ, মুহি, তাহমিদ আহমদ, রেদওয়ান আহমদ, মেহরাব হোসেন ওয়াহিদ, নবিন আহমদ, তাহসিন, কিবরিয়া, পারভেজ আহমদ, ফয়সল আহমদ, অপু, রাফি, তানভীর আহমদ, তাহের আহমদ প্রমুখ।
মেহরাব হোসেন বলেন, বন্যায় অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের কষ্ট দেখে আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এজন্য আমরা টাকা সংগ্রহ করতে নেমে মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। কয়েকদিনেই আমরা ৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছি। পরে সেই টাকা দিয়ে খাদ্যসামগ্রি কিনে বন্যাদুর্গত এলাকায় গিয়ে খাদ্যসামগ্রি বিতরণ করেছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।