বড়লেখায় ২৫ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের অন্তত তিনশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় খোলা হয়েছে ২৫টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র। এতে ২ হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বড়লেখার বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন করে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরী সভা করেন। এ সময় তিনি জনদুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেন। বড়লেখায় প্রথমদিকে বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ২১টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। পরবর্তীতে আরও ৪টি বাড়ানো হয়। মোট ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে রোববার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার পরিবার আশ্রয়ে আছেন। এছাড়া উপজেলার সকল স্কুল-কলেজকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বড়লেখা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণ, ইউনিয়ন ও উপজেলা সড়ক রয়েছে।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, দুই হাজার পরিবার ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন। রোববার পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রসহ ২ হাজার পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার ও ৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।