বড়লেখায় প্রতারণা মামলায় প্রবাসীর সশ্রম কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা প্রতারণা মামলায় কাতার প্রবাসী কাশেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি ধারার অপরাধে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আরেকটি ধারার অপরাধের জন্য ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) জনাকীর্ণ আদালতে রায় ঘোষণা করেন বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ জিয়াউল হক। দণ্ডিত আসামী কাশেম উদ্দিন উপজেলার আরেঙ্গাবাদ গ্রামের মৃত মশিউর উদ্দিন ওরফে তোতার ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর উপজেলার আরেঙ্গাবাদ গ্রামের তাজ উদ্দিন আহমদের ছেলে কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী মুসলেহ উদ্দিন প্রতিবেশি কাতার প্রবাসী কাশেম উদ্দিনের কাছে নিজ বাড়িতে পাঠানোর জন্য ৫০ হাজার রিয়াল প্রদান করেন। এ সময় কাশেম উদ্দিন জানায়, আরও ৭০ হাজার রিয়ালসহ ১ লাখ ২০ হাজার রিয়াল তাকে দিলে সে দুইদিনের জন্য টাকাগুলো তার ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখবে। এতে তার (কাশেম) দোকানের লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবে। এরপর ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সে টাকা দিয়ে দিবে। সরল বিশ্বাসে ব্যবসায়ী মুসলেহ উদ্দিন কাশেমকে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা সমমানের রিয়াল প্রদান করেন। দুইদিন পর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মুসলেহ উদ্দিন কাশেমকে পাননি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সে টাকা নিয়ে দেশে চলে গেছে। তিনিও দেশে এসে টাকার জন্য তাগদা দেন। প্রথমে স্বীকার করলেও পরে অস্বীকার করে কাশেম। বিচার-সালিশ বসিয়েও টাকা আদায়ে ব্যর্থ হন। পরে প্রবাসী মুসলেহ উদ্দিন গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কাশেমের বিরুদ্ধে থানায় প্রতরাণা মামলা করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কিছুদিন জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে সে দেশ ত্যাগ করে।
আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত জানান, মামলার রায়ে আসামী কাশেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বাদীর আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত পৃথক ধারায় ৫ বছরের ও ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।