জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েও অনিশ্চয়তায় বড়লেখার জয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার আরকে লাইসিয়াম স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী জয়শ্রী দেবনাথ জয়া জাতীয় পর্যায়ে শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। কারণ চলতি মাস থেকে তার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালে তাকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। ফলে জয়া এসএসসি পরীক্ষায় নাকি জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগছে। জয়া ও তার অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা এসএসসি পরীক্ষার পর এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড়লেখার রোকেয়া খাতুন (আরকে) লাইসিয়াম স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী জয়শ্রী দেবনাথ জয়া উপজেলা, জেলার পর সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার-২০২১ প্রতিযোগিতায় ভরত নাট্যম ও সৃজনশীল নৃত্যে গ-বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে। গত ২৯ মে তাকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। এদিকে বিভাগীয় পর্যায়ের পর জয়শ্রী দেবনাথ জয়া এবার জাতীয় পর্যায়ে শিশু পুরস্কার-২০২০ ও ২০২১ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। চলতি মাসের ২৬ জুন থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। চ‚ড়ান্ত প্রতিযোগিতা আগামী ২৮ জুন ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। এটি শেষ হবে ০১ জুলাই। অন্যদিকে চলতি মাসের ১৯ জুন থেকে জয়ার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ হবে আগামী মাসের ০৬ জুলাই। এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে তাকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। এই অবস্থায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে জয়া।
জয়ার বাবা বড়লেখা পৌরসভার তেলীগুল এলাকার বাসিন্দা ডা. দীগেন্দ্র চন্দ্র নাথ বলেন, আমার মেয়ে জয়শ্রী দেবনাথ জয়া জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। তার এসএসসি পরীক্ষা ও প্রতিযোগিতা একই সময়ে শুরু হচ্ছে। এখন সে পরীক্ষা দিবে নাকি ঢাকায় গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে তা নিয়ে একধরণের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। আশা করি তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
এ বিষয়ে বড়লেখা নজরুল একাডেমীর উপদেষ্টা জুনেদ রায়হান রিপন বলেন, জয়া আমাদের একাডেমীর নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলো। সে জাতীয় পর্যায়ে শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে তা আমাদের জন্য গর্বের ও আনন্দের। কয়েকদিন পর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। শুনেছি সে এসএসসি পরীক্ষা দিবে। সংশ্লিষ্টদের উচিত, তার পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে প্রতিযোগিতার সময় পিছিয়ে নেওয়া। যাতে সে পরীক্ষা দিতে পারে পাশাপাশি প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিতে পারে।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া কতজন এসএসসি পরীক্ষা দেবে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমাদের মৌলভীবাজার জেলার দু’জন এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের তথ্য আমরা পাঠিয়েছি। হয়তো পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে প্রতিযোগিতার তারিখ পেছানো হতে পারে।