জুড়ীতে প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, বড়লেখায় গ্রেফতার ব্যক্তির সূত্র ধরে ৪ ডাকাত আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার আমতৈল গ্রামের এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার, লুন্ঠিত মোবাইল ফোন ও টাকার অংশবিশেষ এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (০৭ জুন) ভোররাতে আব্দুল জলিল নামের এক ডাকাতকে বড়লেখা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যে অপর তিন ডাকাতকে গ্রেফতার, লুন্ঠিত টাকা, মোবাইল ফোন ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে জুড়ী থানা পুলিশ। বুধবার আদালতের মাধ্যমে পুলিশ ধৃত ডাকাতদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
বুধবার দুপুরে জুড়ী থানার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সুদর্শন কুমার রায় জানান, গত ০৪ জুন জুড়ী উপজেলার আমতৈল গ্রামের বাসিন্দা দুবাই প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা কলাপসেবল গেট ও দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধ মহিলা ও শিশুদের বেঁধে জিম্মি করে ফেলে। এরপর টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্বজন জিয়াউর রহমান থানায় ডাকাতি মামলা করেন।
বাদীর বক্তব্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে বড়লেখা উপজেলার পশ্চিম দক্ষিণভাগ গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে আব্দুল জলিল নামের এক ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের হালগরা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে জুড়ীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের রবাই মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম, জামকান্দি গ্রামের হাজির উদ্দিনের ছেলে মারুফ আহমদ ওরফে সানু ও জায়ফরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানীপুর (খালপাড়ের) আব্দুল করিম উরফে লকুছ মিয়ার ছেলে রবি মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ডাকাতরা জানিয়েছে, তারা গরু চুরি করতো। কয়েক মাস ধরে গরু চুরি বন্ধ থাকায় ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাউসার দস্তগীর ও জুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।