বড়লেখায় উচ্ছেদে ব্যর্থ হয়ে মাছ লুট ও বৃক্ষ নিধনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় খাস জমিতে বসবাসকারীদের দখলীয় ফিসারির মাছ লুট ও ফিসারিপাড়ের ব্যাপক বৃক্ষ নিধনের ঘটনায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (সিআর-১৪৩/’২২) হয়েছে। মঙ্গলবার মাছচাষীদের পক্ষে ভূমিহীন আব্দুর রহমান প্রতিপক্ষের ৫জনের নাম উল্লেখ ও আরও কয়েক জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত মামলাটি ইউএনও বরাবরে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জুহুদনগর বিরাশি সাকিনের খাস ভূমিতে ৮০/৮৫ ভূমিহীন পরিবার প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করছে। ভূমিহীন পরিবারগুলো খাসজমিতে ফল-ফলাদি ফলিয়ে ও সংলগ্ন দেড় একর আয়তনের ফিসারিতে মাষ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। প্রভাবশালীরা সরকারি খাসজমি দখলের উদ্দেশ্যে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করতে ইতোপূর্বে কয়েকটি ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। গত ৪ জুন মধ্যরাতে প্রভাবশালীদের ভাড়াটিয়া বাহিনীর শাহজাহান আহমদ, আলমগীর মিয়া, ইউসুফ আলী, আমির উদ্দিনের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ফিসারিতে নেমে প্রায় ১ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ফিসারি পাহারায় নিয়োজিত আব্দুর রহমান তাদেরকে বাঁধা দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তারা ফিসারিপাড়ে ভূমিহীনদের লাগানো ৬-৭ বছর বয়সী বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক বৃক্ষ নিধন করে।
মামলার বাদী আব্দুর রহমান অভিযোগ করেন, আমাদের বসবাসকৃত খাসভূমি ও ফিসারি আল্লাদাদ চা বাগানের অভ্যন্তরে হওয়ায় বাগান কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে তা দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বন্দোবস্ত আবেদন ও খাজনা দিয়ে প্রায় ৩০ বছর ধরে ওই ভূমিতে আমরা বসবাস করছি। ফিসারির লিজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উচ্ছেদে ব্যর্থ হয়ে প্রভাবশালীরা ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে আমাদের ফলানো ফিসারির মাছ লুট ও ফিসারিপাড়ের শতাধিক আগর ও আকাশমনি গাছ কেটে ফেলেছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বড়লেখা আদালতের সহকারি আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত জানান, ভূমিহীন মাছচাষীর দায়েরকৃত মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মামলাটি ইউএনও বরাবরে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।