বড়লেখায় স্বামী-সতীনের নির্যাতনের শিকার অবরুদ্ধ গৃহবধূকে উদ্ধার করলো পুলিশ!
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যৌতুকলোভী স্বামী আব্দুল কাইয়ুম ও তার প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপীর অমানুষিক নির্যাতনে অর্ধমৃত গৃহবধু সুলতানা বেগমকে বন্দীদশা থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত শনিবার (২১ মে) রাতে উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সুজাউল গ্রামে অভিযুক্ত আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুজাউল গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে প্রায় ৭ বছর আগে সায়পুর গ্রামের আব্দুল মালিকের মেয়ে সুলতানা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই আব্দুল কাইয়ুম ও তার প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপী যৌতুক দাবিতে সুলতানার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে। বিভিন্ন সময়ে সুলতানাকে বাবার বাড়ি থেকে ৭ লাখ টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। অপারগতা প্রকাশ করলেই দুই সন্তানের জননী সুলতানার ওপর চলতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি স্বামী ও সতীনের অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছিলেন। গত শনিবার আব্দুল কাইয়ুম ও তার প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপী বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য সুলতানা বেগমের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় একটি ঘরে বন্দী করে রাখেন। খবর পেয়ে সুলতানা বেগমের বাবা আব্দুল মালিক থানা পুলিশ নিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় বন্দীদশা থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মাসুক মিয়া জানান, ভিকটিমের বাবার অভিযোগ পেয়েই শনিবার রাতে তিনি আহত গৃহবধূ সুলতানা বেগমকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে দুই সন্তানসহ বাবার জিম্মায় দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।