বড়লেখার দু’ভাইসহ ৩ মানবতাবিরোধী অপরাধী রাজাকারের রায় আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার আপন ২ ভাইসহ ৩জনের বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে)। গত মঙ্গলবার (১৭ মে) বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের ওই দিন ঠিক করে দিয়েছেন। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১২ এপ্রিল এ মামলাটি ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখুলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। প্রসিকিউটর মুন্নি বলেন, এ মামলাটি আজ আদালতের কার্যতালিকায় এলে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ মে দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।
মামলার আসামীরা হলেন-আব্দুল মান্নান ওরফে মনাই, আব্দুল আজিজ ওরফে হাবুল এবং তার ভাই আব্দুল মতিন। তাদের মধ্যে একজন পলাতক, অপর দুইজন গত ৬ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন।
আসামীদের মধ্যে মনাইয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবি এম সারোয়ার হোসেন, হাবুলের পক্ষে আব্দুল সাত্তার পালোয়ান। হাবুলের ভাই পলাতক আব্দুল মতিনের পক্ষেও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবি হিসেবে আব্দুস সাত্তার পালোয়ানই শুনানি করেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মৌলভীবাজার এলাকায় অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা গণহত্যার মতো যুদ্ধাপরাধের ৫ ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলায়।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বলছে, আজিজ ও মতিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভারতে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে পালিয়ে বড়লেখায় এসে তারা হানাদার বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। তখন তাদের সঙ্গে যোগ দেন মান্নান। ২০১৬ সালের ১ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার আগে আব্দুল আজিজ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আর পলাতক মতিন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন।
আসামী মান্নান ওরফে মনাই ১৯৭১ সালে জামায়াতের তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন বলে তদন্ত সংস্থার ভাষ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বড়লেখা থানা শান্তি কমিটির সদস্য হন এবং রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ০১ মার্চ আইন-শৃক্সক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে।