বড়লেখার কেছরীগুলের রুবেল হত্যা মামলার আরেক আসামী দুবাই পলায়নকালে গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখার কেছরীগুলে চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যা মামলায় সাইফুল ইসলাম (৩২) নামের আরেক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সে বড়লেখা সদর ইউপি’র কেছরীগুল এলাকার সজ্জাদ আলীর ছেলে। মঙ্গলবার (১০ মে) ভোর ৬টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, রুবেল হত্যা মামলার চার নম্বর আসামী ধৃত সাইফুল ইসলাম। গ্রেপ্তার এড়াতে সে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) হাবিবুর রহমান (পিপিএম) এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) হাবিবুর রহমান পিপিএম জানান, রুবেল হত্যা মামলার আসামী সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করি। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, গত ০৮ এপ্রিল জুমআর নামাজের সময় কেছরীগুল জামে মসজিদের ইমামকে নিয়ে একই এলাকার জামাল আহমদের সঙ্গে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাবের কথা কাটাকাটি হয়। পরে এলাকার লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দেন। আসরের নামাজের সময় জামাল আহমদের ছেলে ও ভাতিজাদের সঙ্গে সদর ইউপি’র বর্তমান মেম্বার সাবুল আহমদের ভাই সাবেক মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাবের ছেলে ও ভাতিজাদের ফের ঝগড়া হয়। ঘটনার সময় রুবেল আহমদ কাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় জামাল আহমদের পক্ষের লোক ভেবে রুবেলকে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন ইউপি মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই শরফ উদ্দিন নবাব গংরা। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে রুবেল গুরুতর আহত হন। রুবেলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই সুমন আহমদও আহত হন। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুবেল কেছরীগুল গ্রামের মৃত ছয়েফ উদ্দিনের ছেলে। এই ঘটনায় ঘটনার রাতেই নিহত রুবেলের ছোটভাই ফয়ছল আহমদ বাদী হয়ে মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই সাবেক মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাবসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১৫-১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করেন।