ঈদ উৎসবে পর্যটকের জন্য প্রস্তুত মাধবকুণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি ‘মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত’। মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার পাথারিয়া পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষে অবিরাম জলধারায় এক চিরযৌবনা জলপ্রপাত ‘মাধবকুণ্ড’। বর্ষার সমস্ত প্রাচুর্য নিয়ে, দেশ-বিদেশের হাজারও পর্যটকের জন্য অপার সৌন্দর্য্যের ডালি নিয়ে সাজিয়ে রাখে নিজেকে। মহামারি করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এবারের ঈদ-উল-ফিতরে ঈদ উৎসবে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত পর্যটকদের জন্য অপেক্ষায়। পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হবে জলপ্রপাত ও আশপাশের এলাকা। পর্যটকের আগমনে হাসি ফুটে উঠে উঠবে পর্যটন এলাকার ব্যবসায়ীদের মাঝে।
একসময় বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মানেই ছিলো মাধবকুণ্ড। এখন দেশের ভেতরে আরও অনেক জলপ্রপাতের সন্ধান মিলেছে। তবে এখনও জলপ্রপাত অনুরাগী পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ মাধবকুণ্ডই। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ভীভিড় জমান এই ঝর্ণাধারার সৌন্দর্য্য উপভোগে। মাধবকুণ্ড যাওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। এই সময় ঝর্ণা পানিতে পূর্ণ থাকে। এবার ঈদ-উল-ফিতর বৈশাখে হওয়ায় ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা ভীড় জমাবেন মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে।
প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, সুবিশাল পর্বতগিরি, শ্যামল সবুজ বনরাজি বেষ্টিত ইকোপার্ক, পাহাড়ি ঝর্ণার প্রবাহিত জলরাশির কল কল শব্দ সবমিলিয়ে মাধবকুণ্ডে বেড়াতে গেলে পাওয়া যাবে এক স্বর্গীয় আমেজ। এই স্বর্গীয় আমেজের খুঁজেই পর্যটকরা ঈদের ছুটিতে দলে দলে এখানে আসেন। উৎসব প্রিয় সব মানুষের গন্তব্য যেনো মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। এবারের ঈদযাত্রায় পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করে মাধবকুণ্ডের সৌর্ন্দয্য উপভোগ করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।