বড়লেখা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে সরকারি জলাশয়ের অবৈধ সেচকার্যে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সহিদ আহমদসহ ভুক্তভোগী ১৫ ব্যক্তি মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়থল গ্রামের বড়ঝালাই গ্রæপ (বদ্ধ) জলাশয়ের ইজারাদার সমিতি গত কয়েক দিন আগে বিধিবহির্ভূতভাবে ৩/৪টি পানির মেশিন বসিয়ে জলমহালটি শুকাতে থাকে। এ জলাশয়ের পানির উপর আশপাশের বাসিন্দারা নির্ভরশীল। মেশিন বসিয়ে শুকিয়ে ফেলার অপচেষ্টায় ইজারাদারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিলে চলমান সেচযন্ত্র বন্ধ করে ফিরে যান। কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ইজারাদারের লোকজন পুনরায় পানি সেচ শুরু করে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ২২ এপ্রিল মৎস্য কর্মকর্তা পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচকাজে নিয়োজিত ৩টি পানির পাম্প জব্দ করেন। নিয়মানুযায়ী তিনি সেচযন্ত্রগুলো জব্দ করে উপজেলা প্রশাসনে জমা দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু তা না করে অভিযুক্তদের সাথে আঁতাত করে তিনি মেশিনগুলো স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে দিয়ে যান। এদিকে ইজারাদার সমিতির সভাপতি আনোয়ার আলী অবৈধ বিল সেচের প্রতিবাদকারীদের আসামী করে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও রঞ্চি বিল থেকেও সেচ মেশিন জব্দ করলেও জড়িতরা পার পেয়ে যায়। শুষ্ক মৌসুমে অবাধে হাকালুকি হাওরের সরকারি জলাশয় ও বিল থেকে পানি শুকিয়ে মাছ লুট করা হলেও উপজেলা মৎস্য অফিস দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ইউএনও ও এসিল্যান্ডের নির্দেশনা মোতাবেক ওই জলাশয় থেকে তিনি ৩টি সেচ মেশিন উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে জমা রেখেছেন। নিয়ম-নীতি বহির্ভূত কোনো কাজের সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন।