মানবতাবিরোধী অপরাধ : বড়লেখার ৩ রাজাকারের রায় যে কোনো দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় মৌলভীবাজারের বড়লেখার আব্দুল আজিজ ওরফে হাবুলসহ ৩জনের বিরুদ্ধে যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে রাষ্ট্র ও আসামী উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
আদালতে মঙ্গলবার আসামী আব্দুল মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবি এম. সারোয়ার হোসেন ও আব্দুল আজিজের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবি আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি।
২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করে তা ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর শেষ করেন। তিন আসামীর বিরুদ্ধে একাত্তরে বড়লেখা এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি মানবতাবরোধী অপরাধের মামলায় বড়লেখার তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই বছর ১ মার্চ মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ২ মার্চ আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মান্নানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
একাত্তরে দুই সহোদর আব্দুল আজিজ ও আব্দুল মতিন ছাত্রলীগ করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের বারপুঞ্জিতে যান। কিন্তু প্রশিক্ষণরত অবস্থায় পালিয়ে এসে তারা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। অপর আসামী আব্দুল মান্নান একাত্তরে স্থানীয় মুসলিমলীগের নেতা ছিলেন। আব্দুল মতিন পলাতক রয়েছেন।
মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) মোট ১৭ জন বন্দী জবানবন্দী পেশ করেন। এরপর যুক্তিতর্ক শেষে এই আদেশ দেন আদালত।