বড়লেখায় যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, এলাকায় উত্তেজনা
নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রুবেল আহমদ (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে রুবেলকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই সাবেক মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাব গংদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাল্টা হামলার ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে রুবেলের পক্ষের লোকজন আব্দুর রাজ্জাক নামের অপর এক যুবককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সদর ইউপি’র কেছরীগুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহত রুবেলের ভাই সুমন আহমদ (১৭) আহত হয়েছেন। নিহত রুবেল সদর ইউপি’র কেছরীগুল গ্রামের মৃত সইফ উদ্দিনের ছেলে। রুবেল পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই এমরান আহমদ শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) জুমআর নামাজের সময় আমাদের গ্রামের মসজিদে প্রতিবেশী জনৈক জামাল আহমদের সঙ্গে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই শরফ উদ্দিন নবাব গংদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দেন। পরে আসরের নামাজের সময় জামাল আহমদের ছেলে ও ভাতিজাদের সঙ্গে সদর ইউপি’র মেম্বার সাবুল আহমদের ভাই নবাবের ছেলে ও ভাতিজাদের ঝগড়া হয়। ঘটনার সময় আমার চাচাতো ভাই রুবেল আহমদ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রুবেলকে জনৈক জামাল আহমদের পক্ষের লোকজন ভেবে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন ইউপি মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাবের পক্ষের লোকজন। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। রুবেলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই সুমন আহমদও আহত হন। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাবুল আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বড়লেখা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার শুক্রবার রাতে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। সাবুল মেম্বার ও তার ভাই-ভাতিজা মিলে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩জনকে থানায় আনা হয়েছে।