ইতালিতে আক্রান্ত দুই লাখ ছাড়াল
চীনের উহান থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসে বিপর্যস্থ ইতালি। মঙ্গলবার করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর সংখ্যা এবং আক্রান্ত সংখ্যা কমতে থাকার পর আবার কিছুটা বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। তবুও আশার আলো দেখছে ইতালির ছয় কোটি মানুষ। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল ) মৃত্যুবরণ করেছে ৩৮২ জন। সোমবার এ সংখ্যা ছিলো ৩৩৩ জন। জনগণকে সুরক্ষা দিতে ইতালি সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে ইতালিতে মোট মৃত্যুবরণ করেছে ২৭ হাজার ৩৫৯ জন।
গত কয়েকদিনে রেকর্ড পরিমান লোক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। আজও এ সংখ্যা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২ হাজার ৩১৭ জন।
এদিন নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ৯১ জন। দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। গুরুতর অসুস্থ রোগির সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৩ জন, যা গতকালের চেয়ে ৯৩ জন কম। মোট চিকিৎসাধীন রুগির সংখ্যা এক লক্ষ ৫ হাজার ২০৫ জন এবং দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ১ হাজার ৫০৫ জন বলে জানিয়েছেন নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেল্লি।
তিনি বলেন, জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬৮ হাজার ৯৪১ জন।
ইতালির ২১ অঞ্চলের মধ্যে লোম্বারদিয়ায় করোনার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত (মিলান, বেরগামো, ব্রেসিয়া, ক্রেমনাসহ) ১১টি প্রদেশ। আজ এ অঞ্চলে মারা গেছে ১২৬ জন। শুধু এ অঞ্চলেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজার ৫৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ অঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩৪৮ জন। আজ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১০১২ জন।
এদিকে লকডাউন কিছুটা শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে। ফলে আশার আলো দেখছেন দেশটির জনগণ।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে ইতালির লোম্বারদিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন শহর ঘুরে দেখে। করোনাভাইরাসে ইতালির লোম্বারদিয়া অঞ্চলই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। লোম্বারদিয়া সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে মিলানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, লকডাউন শিথিলের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৪ মে থেকে উৎপাদন শিল্প, নির্মাণ খাত ও পাইকারি দোকান পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।
তবে আপাতত সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।তিনি আরো বলেন যে ইতালিকে ভালোবাসে, সে অবশ্যই সমস্থ বিধিনিষেধ মেনে চলবে। তিনি আবারও বলেন অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। আগের মত অনেকটা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন তবে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে স্ব ঘোষিত-সার্টিফিকেট সাথে থাকতে হবে।